আমরা যারা উপকুলে বসবাস করি তারা জানি যখন পরিবেশ আমাদের দিকে বিমূখ করে তাকায় তখন আমরা অনেক বাধার সম্মুখীন হয়ে পড়ি, সারা বিশ্ব আজ জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় ধরনের ঝুকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। তদরুপ আমদের বাংলাদেশে ও কিন্তু এর একটি বিশাল পরিবর্ত সাধিত হয়েছে এই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে । বিশেষ করে আমাদের প্রতিবন্ধী জনগোষ্টীরা এই পরিবর্তনে ঝুকির সম্মুখীন বেশী । আমরা যারা শহর মুখী থাকি তারা অনেকটা নিরাপদ এর সাথে বসবাস করতে পারি , কিন্তু যারা গ্রামে বসবাস করে ও যারা উপকুলে বসবাস করে তারা এই জলবাযু পরির্তনের ঝুকি মোকাবেলায় জীবন পন যুদ্ধ করে চলছে। তারা নিজেরা প্রতিবন্ধী মানুষ হওয়ার কারণে এমনিতেই প্রতিবন্ধকতা শিকার তার উপর তারা জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুকি মোকাবেলায় আরো প্রতিবন্ধকতার মাঝে পড়ে যায়। এখনো পর্যন্ত এই ঝুকি মোকাবেলায় প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য আলাদা কোন সুব্যবস্থা রাখা হয়নি কোথাও । আর হলেও তা জনসংখ্যা তুলনায় অপ্রতুল। সেদিক বিবেচনা করে আমাদের সরকারের প্রতিবন্ধী মানুষের এই ঝুকি মোকাবেলায় আলাদা করে সুনিদিষ্ট ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে । প্রতিবন্ধী মানুষেরা যাতে এই ঝুকি মোকাবেলায় তাদের পরিবারের পাশাপাশি নিজেরা নিরাপদ ভাবে তাদের জীবন বাচাঁতে সক্ষম হয় , এমন অনেকবার দেখা গেছে কোন ঘূর্ণিঝর বা জলোচ্ছাস হলে পরিবারেই সে প্রতিবন্ধী সদস্যটিকে ফেলে রেখে চলে গেছে তার জীবন বাচাঁতে, কিন্তু আমরা যদি একটু সচেষ্ট থাকি তাহলে এই প্রতিন্ধী মানুষগুলো জলবায়ু পরিবর্তন এর ঝুকি মোকাবেলায় অনেক খানি নিজেদের আত্নরক্ষা করতে পারবে । উপকুলীয় অঞ্চলে এমন অনেক পরিবার আছে যাদের একটি ঘরে দুজন বা তিনজন করে প্রতিবন্ধী মানুষ আছে , একদিকে তারা দরিদ্রতার রোশানলে পড়ে আছে অন্যদিকে তারা পরিবেশের এই ঝুকি মোকাবেলা তাদের জীবনে অভিশাপ হয়ে নেমে আছে , তাই এই জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন যদি আমরা চিন্তা করি তাহলে প্রথমে তাদের জীবনমান উন্নয়নে আমাদের কাজ করতে হবে, তাদের নিরাপদে বাচাঁর সুব্যবস্থা করতে হবে। তবেই এই জনগেষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের অংশ হতে পারবো আমরা । তা না হলে প্রতিটি উন্নয়নই ব্যহত হবে । জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অভিঘাত থেকে প্রতিবন্ধী মানুষদের অভিযোজন পক্রিয়ায় সরকারের সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অতীব জরুরি । ………………Nargis Chowdhury.
বয়:সন্ধি কালীন কিশোর কিশোরীকে কতটুকু সচেতন করতে পারছি ……..
বয়:সন্ধিকাল এই শব্দটি সাথে আমরা অনেকে পরিচিত, অনেকে জানি, আবার অনেকের অজানা । আমরা জানি না একজন কিশোর কিশোরীর জীবনে এই বয়:সন্ধিকাল কতটুকু গুরুত্ব। আমরা যারা অাজ পরিনত বয়সে এসেছি আমরাও এই বয়সিন্ধিকার পেরিয়ে এসেছি। কিন্ত সেই আমরা আমাদের চারপাশে বেড়ে উঠা বয়:সন্ধি কালীন কিশোর কিশোরীকে কতটুকু সচেতন করতে পারছি, কেনেই বা পারছিনা, এটা কি আমাদের অজ্ঞতা , নাকি অবহেলা ।এই বয়:সন্ধি কাল আমরা নিজেরা পার করে এসেছি যখন, তখন মানুষে মাঝে এত সচেতনতা বিরাজ করতো না, কিন্তু এখনতো আমাদের সমাজের মানুষ গুলো অনেক বেশী সচেতন তারপর ও কেন ব্যাপার গুলো এমন হচ্ছে না বলুন
তো ? হওয়াটাকি উচিত নয় , বাংলাদেশে এখন মোট জনগোষ্ঠির ৩৪% থেকে ৩৫% এই কিশোর কিশোরী, তার মানে তারা বিশাল একটি জনগোষ্ঠি । এই জনগোষ্টির মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের কাছে কতটা গুরুত্ব বহন করে তা অামরা নিজেরাও জানিনা । সেই বয়:সন্ধিকালীন সময়ে তারা যদি নিজেদের সঠিক ভাবে গঠন করতে না পারে তাহলে তার বাকী জীবনটা থাকবে ধোয়াশা অন্ধকারের মধ্যে, এই সময়টাতে তার পরিবার, পরিজনর পারিপাশ্বিকতা তাকে মানসিক ভাবে অনেক খানি এগিয়ে নিয়ে যাবে, যার প্রভার তার সারা জীবনের চলার পথকে অনেক সুপশন্ন করবে। সে নিজেকে জানবে, মানুষের বেড়ে উঠার সাথে সাথে তাদের শারিরীক, মানসিক কিছু পরিবর্তন হয়, আর এই পরিবর্তন এর সময় তাদের অনেক সচেতনতার সাথে নিজেকে মোকাবেলা করতে হবে, এবং পারিপাশ্বিকতাকে জয় করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে অালো দিকে যে আলো তাকে সারা জীবন অালোকিত করে রাখবে, তাই নিজেকে জানা এই সময় খুব জরুরী । আজ যারা কৈশর পেরিয়ে যৌবনে পর্দাপন করবে তাদের ও দায়িত্ব থাকবে আজ যে সময় গত হইলৈা তোমার, সেই সময়ে গল্প তার পরের ধাপকে জানানো তাদের সানিধ্যে গিয়ে বার বার বলা নিজেকে জানো , নিজেকে জানো ……………………. Nargis Chowdhury.
আমরা স্বপ্ন দেখি ,স্বপ্ন দেখাই সুন্দর আগামীর
মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড় । স্বপ্ন মানুষকে ছুতে পারে না । মানুষ স্বপ্নকে ছুয়ে থাকে । কেউ দেখে ভালবাসার স্বপ্ন , কেউ দেখে নিজেকে বড় করার স্বপ্ন,ক্যারিয়ার , জীবন , সৌন্দর্য , কেউবা আবার প্রতিযোগিতায় নিজেকে টিকিয়ে রাখার স্বপ্ন, আবার তার উল্টো দিকে দেখা যায় কিছু মানুষ থাকে যারা স্বপ্ন দেখে তাদের অন্যের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রুপ দেয়ার স্বপ্ন। আসলে এই ধরনের ভিন্ন ধর্মী মানুষ খুব কমই দেখা যায়। তারা স্বপ্ন দেখে অন্যকে ভালরাখার জন্য । সুন্দর আগামী উপহার দেয়ার জন্য । কিন্তু তাদের ব্যক্তিগত কোন চাওয়া পাওয়া থাকেনা , ব্যক্তিগত কোন স্বপ্নও থাকেনা । তাদের স্বপ্নগুলো তাদের তাড়া করে ফেরে অন্যের জন্য । তারা চাই যারা স্বপ্নভষ্টের দিকে ধাবিত হচ্ছে তাদের স্বপ্নদষ্টা হওয়ার জন্য । তারা তাদের ভাল মন্দের দিক গুলো ভুলে গিয়ে অন্যকে ভাল রাখার প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রতিযোগি করে তোলে । তারা চাই এ সমাজে প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন পুরণ হলে জিতবে তারা । তারা প্রতিটি মানুষের যেখানে আছে দরিদ্র -হত-দরিদ্র , প্রান্তিক, প্রতিবন্ধী ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষ, সেই মানুষ গুলোর স্বপ্নের সাথে সামিল থাকতে চাই। তারা তাদের স্বপ্নপুরনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই পাশাপাশিিএই মানুষগুলোর অধিকার আদায়ে সম্পৃক্ত হতে চাই এবং তাদের সম্পৃক্ত করতে চাই সমাজের মুল স্রোত ধারায় । তাদের সহজ প্রবেমগম্য একটি বাস যোগ্য পরিবেশ দিতে চাই , যেখানে সকল মানুষের মত তারা তাদের ভয়েজ রেইজ করতে পারবে , তারাও বলবে আমরা ভিন্নতকোন অংশ নই , আমরা তোমাদেরই একটি অংশ , তোমাদেরই পরিজন , আমরা অক্ষম নই , আমরাও সক্ষম তবে একটু ভিন্নঅঙ্গীকে । সেই মানুষ গুলো হয় তাদের স্বপ্নযাত্রী। । তারা সব সময় নিজেরা স্বপ্ন দেখে , তারা স্বপ্ন দেখাই সেই জনগোষ্ঠীর সুন্দর আগামীর । সেই স্বপ্ন যাত্রীদের আমরা সবসময় আমাদের মনের মনি কোঠায় রাখতে চাই , তাদের স্বপ্ন এগিয়ে গেলে বিশ্বসভায় আমরা মাথা উচু করে দাড়াতে পারবো।
…………………………………………………………………………….Nargis Chowdhury.
প্রসংগত কারনেই বলছি, কি এবং কেন ?
আমার দেশ এবং দেশান্তরিদের কিছু গল্প কথা, বার বার বিবেকের তায়নায় তারায়িত হচ্ছি , মনে বার বার প্রশ্ন জাগে কি হচ্ছে, কেনই বা হচ্ছে, কতটুকু হওয়া দরকার, আমরা জানি জীবনের দোলাচলে মানুষের কতকিই না পরিবর্তন হয়, সেই পরিবর্তনi সাথে সাথে আমাদের নিজেদের মানসিকতা ও মানবতা এতটাই উর্ধে আবতরন করছে আমার নিজেদের আর ঠিক রাখতে পারছিনা, পারছিনা প্রশ্ন করতে নিজেদের , বেদম ছুটছি মানবতার দিকে, চারদিকে এখন মানবতার ছড়াছড়ি, কোথায় রাখবো এত মানবতা ? মানবতা , মানবতা , মানবতা , চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে এত মানবতা রাখি কোথায় , দেশ আজ এক অস্তির সময়ের মধ্যে অতিবাহিত হচ্ছে, একদিকে দেশ , অন্যদিকে দেশান্তরি মানুষের কষ্ট, এই দুইয়ের দোলাচলে আমরা বুঝতে পারছিনা কুল রাখি না শ্যাম রাখি। আসলে আজ আমরা কাদের কল্যানে কাজ করবো , কি আমরা দেশের মানুষ, নাকি আমার দেশে আসা দেশান্তরি মানুষ । প্রসংগত কারণেই বলছি অন্যকে বেশী প্রধান্য দিতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই নিজেদের বড় বেশী ক্ষতি করে ফেলছিনাতো ,আর এই মানবতা দেখাতে গিয়ে একটি জনগোষ্টির জীবনমানকে অন্যভাসে পরিণত করে দিচ্ছিনাতো , আসলেই কি আমরা মানবতার পাশে , নাকি মানবতার পাশে দাড়ানোর নামে প্রতিযোগিতায় পাশে , যদি মানুষের কল্যানে কাজ করি তাহলে ফলাফল আসবে , আর যদি প্রতিযোগিতায় নেমে কাজ করি তাহলে ফলাফল শূন্য , কারণ লোক দেখানো কাজে কখনোই সফলতা আসবেনা , বা যাদের কল্যানে কাজ করবো তারা কোন অভিষ্টলক্ষ্যে পৌছোতে পারবেনা , সেজন্য প্রস্গংত কারণেই বলছি , যা করবো , যেটুকু করবো তা যেন মানুষের কল্যানে আসে , তারা যেন সুন্দর আগামী নিজেদের হাতেই নিজেরা তৈরী করতে পারে , দেশ ও দেশান্তরি অবহেলিত মানুষেরা যেন আলোর পথের যাত্রী হয়ে অন্যকে আলোকিত করতে পারে । ………………….Nargis Chowdhury.
আসছে পহেলা জুলাই ১৫২ তম কানাডা দিবসে কানাডার রাজধানি অটোয়ায় “সম্মিলিত বাংলা কারাভান ২০১৯”
আসছে পহেলা জুলাই ১৫২ তম কানাডা দিবসে কানাডার রাজধানি অটোয়ায় বাংলাভাষী কানাডিয়ানদের আয়োজন ” সন্মিলিত বাংলা কারাভান ”
আসছে পহেলা জুলাই ১৫২ তম কানাডা দিবসে বরাবরের মত ” সন্মিলিত বাংলা ক্যারাভান ” আয়োজন করছে বর্ণাঢ্য র্যালি। আমরা পরীজায়ী বাঙ্গালির ধাত্রীভূমি আর এদেশে জন্ম নেয়া আমাদের নতুন প্রজন্মের গরিয়সী জন্মভূমি এই কানাডার জন্ম দিবসে বহুজাতিক সংস্কৃতির মিছিলে আমরাও অংশগ্রহণ করতে চাই বিপুল গৌরবের বাঙ্গালিপনা নিয়ে। ‘বাংলা ক্যারাভান” রাজধানী অটোয়ায় নৃ্তাত্ত্বিক বাঙালির আত্মপরিচয় নির্মাণের
বাতিঘর। বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম-যে অঞ্চল থেকেই আমরা এসেছি নৃ্তাত্তিক জাতিসত্বায় আমরা এখন ক্যানাডিয়ান বাঙালি বা অন্যনামে বিশ্ববাঙ্গালি। ভাষা, সংস্কৃতি, আচার, লোকাচারে আমরা সকলেই একই সুতোয় গাঁথা। এই দেশে আমাদের ঐতিস্যময় বাঙালি সংস্কৃতি ও কৃষ্টির যথাসম্ভব আয়োজন নিয়ে আমরা করব শোভাযাত্রা রাজধানী অটোয়ার রাজপথে। এই শহরের অভিবাসী বাঙালি সমাজসহ যেসব বাঙালি
আসবেন অন্যান্য পাশ্ববর্তী শহরগুলো থেকে ক্যানাডা দিবসের মুলধারার জমকাল অনুষ্ঠানাদি উপভোগ করতে, তাঁদের সকলের অংশগ্রহণ আমরা নিশ্চিত করতে চাই বাঙ্গালির এই আনন্দ উৎসবের মঙ্গল শোভাযাত্রায়। গেল বছরের সাফল্যময়তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আশা করছি সকল বাঙ্গালির কোলাহলে বা অংশগ্রহণে এবারের
আয়োজনে যোগ হবে বহুবিধ বর্ণিল মাত্রা। কানাডা দিবসে এদেশের বহুধা সংস্কৃতির মূলধারায় আমরাও যোগ করব বাঙালি সংস্কৃতি আর লোকমানসের গৌরবময় কিছু মহার্ঘ। আপনাদের কাছে আকুল আবেদন, এই আনন্দের সংবাদটি ফেসবুকে শেয়ার করে আপনার পরিবার ও বন্ধুসভার সকলের কাছে পৌঁছে দিয়ে সকলের কিচিরমিচির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সহায়তা করুন। ‘বাংলা ক্যারাভান’ নৃতাত্ত্বিক বাঙ্গালির প্রাণের মেলা, কানাডা দিবসের র্যালিতে সরব অংশগ্রহণ করে আমরা তুলে ধরব আমাদের গর্বিত সংস্কৃতি-কৃষ্টির ঐতিহ্য ধাত্রীভূমি কানাডার মূলধারায়।
আপনাকেও আমন্ত্রণ জানাই আমাদের সাথে সন্মিলিত কানাডা দিবসে যোগদানের জন্য।
আমার পৃথিবী ……..
বাচতেঁ চাই সুন্দর ভাবে, নীল আকাশে জোছনার সাথে মিতালী পাতাতে চাই , সুন্দর পৃথিবীতে প্রাণভরে স্বস্তির নি:শ্বাস নিতে চাই, শুধু ভাল যেটো সেটাই চাই, চাই আর চাই, এই চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যে এতটা দৌরত্ব আগে বুঝিনি, বলতে পারছিনা কেন চাওয়া পাওয়া মধ্যে এতটা ফারাক। কিছু মানুষ আছে যারা শুধু চাই আর চাই, কিন্তু আমার চাওয়াটা ছিল যতসামান্য , হারয়ে নিয়তি বড়ই নিষ্ঠুর , এই সামান্য চাওয়া টুকুও আমার ভাগ্যে জুটলোনা, মৃদু হাসি , কিছুটা কান্না জড়িত কন্ঠে গল্পে, গল্পে, গল্প করছিল দেশান্তরি হওয়া জান্নাতনুর । সে আবার জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী একজন মানুষ। ্একদিকে নিজের শারীরিক অক্ষমতা, অন্যদিকে বৈষম্য, নিযার্তন ও নিজেকে টিকিয়ে রাখার নিরলস প্রচেষ্টা, এত অনিশ্চয়তায় দিনযাপন করা বড়ই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।মনে হয় চারিদিকে শুধু হায়নার দল, শকুনের দল ওত পেতে আছে শিকারীর জন্য । তারা হলো মানুষ রুপি নরপশু। ঐ দেশে সে তার বাড়ি ঘর ভাই , বোন সব কিছু ফেলে কিছু মানুষের প্ররোচনায় সে ও তার মা দেশান্তরি হয়েছে । সে আসার পর তার বৃদ্ধ মা,টিও মারা গেছে, যখন তার মা মারা যায় তার মনে হয়েছিল পৃথিবীর যেন অন্ধকারে ছেয়ে গেছে, আর বোধয় উঠে দাড়ানোর কোন পথ নেই , কিন্তু তার সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হল, পৃথিবীতে এখনও কিছু মানবতার পাশে, মানুষের পােেশ দাড়ানোর মানুষ অনেক আছে। আসলে আমরা খারাপের মাঝে এখন আর ভালোটা খুজে পায়না বা খোজার চেষ্টাও করিনা । একজন প্রতিবন্ধী মানুষ হয়ে সে তার প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে চাই , সবে মাত্র ১৬ কোটায় তার বয়স এই বয়সে জীবনের প্রতি তার যে তিক্ত অভিজ্ঞতা সেই অভিজ্ঞতা তার সারা জীবনের চলার পথকে শানিত করতে সাহায্য করবে। প্রতিবন্ধী হলেও সে অনেক গুনের অধিকারী , সে মিষ্টি কন্ঠে কোরআন তেলওয়াত করে কোরআন এর অনেক সুরা তার মুখস্ত ,নিপুনভাবে সে হস্ত শিল্পের কাজ করে , বুননের কাজও করে নিপুনভাবে , সে চাই এই কাজে মধ্যে তার বাকী জীবনটা পার করে দিতে। সে আর চাই না মানুষরুপী নরপশুদের সান্নিধ্য , সে চাই সুন্দর ভাবে বাচঁতে , সুন্দর আগামীর পথে সে আর কোন বাধাঁর সম্মুখীন হতে চাই না, সে এমন একটি সুন্দর পৃথিবী চাই যেখানে প্রাণভরে স্বস্তির নি:শ্বাস নেওয়া যায়। সে যেন বলিষ্ঠ কন্ঠে বলতে পারে , এ পৃথিবী আমার , আমার , এবং আমার ।
……………………………………………………………………..Nargis Chowdhury.
কিশোরী তুমি কৈশোর পেরিয়ে যুবতী হবে একদিন , মনে ভয় কর জয় রেখোনা কোন সংশয়…..
‘নিরাপদ’ একটি অঙ্গীকার।
নি – নিজেকে, র – রক্ষাকরা ও ,প—পরিচর্চা করার. দ – দক্ষতা। নিজেকেসুরক্ষা ও পরিচর্চা করার দক্ষতাই নিরাপদের মূলমন্ত্র।নিরাপদ এমনই একটি অঙ্গীকার যা সাধারনের বাইরে গিয়ে অসাধারন কিছুজনগনের কথা বলে।
সমাজের শ্রবণ প্রতিবন্ধী নারী, বাক প্রতিবন্ধী নারী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী,ক্রাচ ব্যবহারকারী কিংবা হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী নারী,আরওআছে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীএবং অটিস্টিক নারী ও মনোসামাজিক
প্রতিবন্ধী নারী।এইসব জনগোষ্ঠী আমাদের সমাজের বিশাল একটি অংশ।এই ভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী নারীদের এমন একটি বিষয় আলোচনায় নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই, যা ইতোপূর্বে জনসম্মুখেআলোচনা হয়নি কখনো।
এই বিশাল জনগোষ্টীর যারা সবাই এ দেশে নির্মম এক বাস্তবতায় দিন কাটাচ্ছেন।আমাদেরদেশের প্রতিবন্ধী নারীগোষ্ঠীর মাসিককালীন পরিচর্যা, তাদের বিয়ে, সংসারের স্বপ্নদেখা, পরিবার গঠন কিংবা মা হতে পারার আনন্দ অথবা তার প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টিও এ দেশের অধিকাংশ পরিবারের কাছে অপ্রয়োজনীয়, অবাস্তব বিরুত্তির ওবিলাসিতা মাত্র। কিন্ত তারা জানেনা একজন মেয়ে যখন ছোট বয়স থেকে কিশোরী পরিনত হয় তখন তার শারীরিক গঠনের সাথে সাথে মানসিক পরিবর্তন ও সাধিত হয়, সে সময় সেই কিশোরীর সব চেয়ে বেশী প্রয়োজন তার মানসিক শক্তি, আর সেই শক্তি জোগান দাতা হবে তার পরিবার,পরিজন, কিন্তু আমাদের সমাজে চিত্রটি দেখা যায় ঠিক তার ভিন্ন, এ সময় সেই কিশোরীর মনোবল বাড়ানোর চাইতে তাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় তুমি এখন আমাদের পরিবারের জন্য একটি হুমকির বার্তা নিয়ে এসেছ যাতে কিনা তোমার সাথে সাথে আমাদেরও লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে হবে সবসময়, যেনো এটাই প্রমান করে মেয়েদের মাসিক হওয়াটাই বড় অপরাধ, তাই আমাদের প্রথমে পরিবার, পারিপার্শ্বিকতা তথা সমাজকে পরিবর্তনে কাজ করতে হবে। ……………..Nargis Chowdhury.
ভিন্ন রকম সক্ষমতার গল্প…….
গণতন্ত্র চর্চার ধারাবাহিকতায় দেশ ও জাতি এক সন্নিক্ষনে, এই ধারা যে পথে এগোবে সেই ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের এক কোটি ৭০ লক্ষ প্রতিবন্ধী মানুষের কথা ভাবা একান্ত প্রয়োজ। উন্নয়নের প্রতিটি রুপ কল্প তৈরীতে এই বিশাল একটি জনগোষ্ঠিকে সম্পৃক্ত করতে হবে তবেই উন্নয়নের সকল রুপকল্প তৈরী সম্ভব হবে, তারা এগোলেই দেশ এগোবে। তাদের বাদ দিয়ে কোন উন্নয়ন রুপকল্প তৈরী হবে না, যদি না আমরা তাদের কথা না ভাবি, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিবন্ধীী শব্দটি উচ্চারণ করতে চাইনা বলতে চাই ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষ। এই ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষের মধ্যে যারা খুবই বঞ্চিত তারা হলো বাক শ্রবন প্রতিবন্ধী মানুষ। তারা তাদের কথা কাউকে বলতে ও পারে না আবার তারা শুনতেও পারে না, আমরা যদি সময়ের সাথে নিজেদের সম্মানেের সাথে দাড় করাতে চাই তাহলে এদের কথা ভাবা একান্ত প্রয়োজন। আমরা যদি বিশ্বসভায় এদের সম্মানের সাথে দাড় করাতে না পারি তাহলে এই দায়ভার আমাদের প্রত্যেককে নিতে হবে সমষ্টিগত ভাবে, এই দায় এড়ানোর কোন সুযোগ নেই। একদিকে যেমন উষার স্তিমিত আভা অন্য দিকে বৈষম্য, এই দুয়ের দোলাচলে আমাদের ১ কোটি ৭০লক্ষ মানুষের প্রশ্ন কে ভাঙ্গবে এই বৈষম্যেের দেয়াল কে নেবে অগ্রাভিমুখী উদ্দোগ। একদিকে উষার স্তিমিত আভা, অন্যদিকে বৈষম্য এই দুয়ের দোলাচলে ১ কোটি ৭০ লক্ষ প্রতিবন্ধীী মানুষের প্রশ্ন কে ভাঙ্গবে এই বৈষম্যেের দেয়াল কে নেবে অগ্রাভিমুখী উদ্দোগ। প্রতিবন্ধী মানুষেরা আজ তাদের প্রতিবন্ধকতা থেকে বেড়িয়ে এসে সমাজের মুলস্রোতধারায় সম্পৃক্ত হতে চাই, তারা বোঝা হয়ে থাকতে চাই না তারা সম্পদেে পরিনত হতে চাই, শুধু দরকার আমরা যারা অক্ষম মানুষেরা আছি তাদের একটু সহযোগিতা, সহযোগিতা পেলে তারা বোঝাতে নয়, পরিণত হবে সম্পদে তাই সরকারের পাশাপাশি প্রতিবন্ধী মানুষের কল্যাণে সকলকে কাজ করতে হবে, এগিয়ে নিতে হবে সমাজ ও রাষ্ট্রকে, তবেই আমরা আমাদের দেশকে বিশ্বেের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়ানোর জন্য নিজেদের যোগ্য মনে করতে পারবো, তবেই সোনার বাংলা সোনার আলোতে ভরে উঠবে,ভাবতে হবে প্রতিবন্ধী মানুষেরা ভিনগ্রহের কোন মানুষ নয়, এরা আমার, আপনার পরিবা, পরিজন, এরা আমার সমাজের, দেশের একটি অংশ, পরিবা, সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল কাজে তাদের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে আমাদেরই। তবেই দেশ এগিয়ে যাবে, প্রতিবন্ধী মানুষেরা জিতলে জিতে যাব আমরা। তাহলে সমাজে কোন ভেদাভেদ থাকবেনা, থাকবেনা কোন বৈষম্য। তবে বলব “দান দয়ার দিন শেষ ” প্রতিবন্ধী মানুষেরা করবে ডিজিটাল বাংলাদেশ।
………………………………………………………………………………….Nargis Chowdhury.
দেশান্তরি ………………….
শত শত চোখ আকাশটা দেখে, কাদা মাটি মাখা মানুষের ঢল, গাদাগাদি করে আকাশটা দেখে, নালিশ জানাবে বলো ওরা কাকে, যুদ্ধে ছিন্ন ঘর বাড়ি দেশ, মাথার ভিতরে বোমার বিমান, এই দূরবিসহ দিন কবে হবে শেষ—-টেকনাফ, উখিয়া, কুতুপালং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা অভিবাসীদের ঘুরে ঘুরে দেখছি আর মৌসুমী ভৌমিকের গানটি যেন কানের কাছে শুধু ভেসে আসছে, জীবনের দোলাচলে তারা এখন ভাসমান, তারা জানেনা কোথায় তাদের নিশ্চিত আবাসসথল, তারা কি এভাবেই জীবন কাটাবে, নাকি আদৌ তারা নিজের দেশের মাটিতে ফিরতে পারবে——জীবন বড়ই অদ্ভুত মনে হচ্ছে যখন ওদের দেখি তারা দেশ বিতাড়িত হয়ে এদেশে অজানা, অচেনা, অনাস্থা, অনিশ্চিত জীবনে দিকে-কি হবে ওদের মনে বার বার প্রশ্ন জাগে,প্রশ্ন জেগেই আছে, অনিশ্চিত ভাবে তারা দিনাতিপাত করছে, মানবতার পাশে সবাই আজ বড়ই অস্থির হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে,কিন্তুু সেই মানবতা তাদের জন্য যেন আশিরবাদ হয়ে উঠে, তারা যেন তাদের সঠিক গন্তব্য, সঠিক নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে পারে, তারা যেন জনসমুদ্রে ভেসে আরো ভাসমান না হয়,না হয় যেন ছিন্নমূল, যখন দেখি একদল কিশোরী সবে মাত্র কৈশোর পেরিয়েছে তারা তাদের সম্ভম বাঁচাতে বেদম ছুটছে, কিন্তু নিষ্ঠুর নিলজ্জ দৃষ্টি তাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত ও ছোবল হানছে, সেই হায়নার ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছেনা ফুলের মত কিশোরীরা যাদের চোখে অনেক স্বপ্ন, জীবন গড়ার স্বপ্ন, সংসার সাজানোর স্বপ্ন, স্বপ্ন আর স্বপ্ন– স্বপ্ন কেবল স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে, তারা বয়ে বেড়াচ্ছে অশ্লীলতা হানির বোঝা, সেই বোঝা থেকে একদিন হয়তো তারা পরিত্রাণ পাচ্ছে ঠিকি কিন্তু স্বপ্ন ভঙ্গেের বেদনা তাদের তারা করে ফিরছে, আমার দেখা একটি মেয়ে (ছদ্মনা) পালকি জন্মগত ভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধীী কিশোরী, প্রতিবন্ধকতা জয় করাই ছিল যার স্বপ্ন, যার মনোবল ছিল প্রখর কিন্তু হায়নাদের সেই ছোবল তাকে ঠেলে দিয়েছে আরো প্রতিবন্ধকতার দিকে। আমরা কি পারবো সেই কিশোরীদের স্বপ্ননীল ভালবাসার অংশ হতে, আবার তাদের স্বপ্নেের রাজ্যে ফেরত পাঠাতে, মনে বার বার প্রশ্ন জাগছে, জেগেই চলেছে। পালকী যার কথা বলছিলাম যার চোখ প্রতিবন্ধীতা জয় করার স্বপ্নকে তাড়া করে ফিরতো , কি তার অপরাধ ছিল একজন বাবার বয়সি নরপিসাজ তার তারা করা স্বপ্ন গুলোকে তার কাছে আর আসতেই দিলোনা, স্বপ্ন ভঙ্গের যাএায় তাকে তুলে দিল আজীবনের জন্যে তার মনবলকে লুন্ঠিত করে দিল, আমরা আবারো সেই স্বপ্ন ভঙ্গের যাএীদের সাথে সামিল হতে চাই যোদ্ধার মত, বলতে চাই থেমোনা তোমরা এগিয়ে চল তোমাদের স্বপ্নের দিকে, আমরা তোমাদের সহযোদ্ধা,আমরা তোমাদের সহযাএী, আমরাই তোমাদের অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসতে হাত বাড়িয়েছি।……………………………………………………………..Nargis Chowdhury.